প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট/নৈসর্গিক শোভা
Topography/Scenary:
‘‘চারিদিকে ঘেরা অজস্র বিটপী কান্তারে শৈল সারি; দাঁড়িয়ে রয়েছে যেনো অতদ্র প্রহরী, তারিই মাঝে নয়নাভিরাম মনোহারি পূণ্য ভূমি ‘আলীকদম’ গিরির স্বপ্নপুরী’’। এই ১নং আলীকদম ইউপি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের একটি আদর্শ ইউনিয়নের নাম। সবুজের শ্যামলীমায় অমত্মর্বিহীন মৌন নিস্তব্দ সৌন্দর্যের দিগন্ত বিস্তৃত গ্রন্থিল পাহাড়ীকার এক কাব্যিক মনোরম পরিবেশ। যাতে বিরাজ করে এক অপরূপ সৌন্দর্যের আবহ। এখানকার পাহাড়ীয়া ছোট ছোট নদী আর ঝিরিগুলো নীরব চঞ্চলতায় অবিরাম গতিতে প্রবহামান। বাতাসে কলরোল তোলে এখানকার বিশাল ভূপ্রকৃতি। গ্রীষ্মের মৃতপ্রায় মাতামুহুরী নদী বর্ষার পানিতে উচ্ছ্বল যৌবনদীপ্ত তরঙ্গয়িত হয়ে পড়ে। সবুজের অবারিত পরিবেশে এখানকার বাঙ্গালী-পাহড়ী জনগোষ্ঠীর অন্তরাত্মা লীন হয়ে আছে। পাহাড়, নদী ও অসংখ্য ছড়া-নির্ঝরণী এ ইউনিয়নকে দিয়েছে এক অপরূপ সৌন্দর্য। প্রকৃতি অকৃপন হাতে এখানকার মানুষকে দিয়েছ জীবন ও জীবিকার অবলম্বন। চারিদিকে এখানে বিরাজ করছে সবুজের অনিন্দ সুন্দর নিঃসর্গ। ইউনিয়নজুড়ে বিশাল বিস্তৃত শৈলরাজির বিশুদ্ধ সমীরে বিহঙ্গ কাকলীর গুঞ্জন শোনা যায়। নাম না জানা অসংখ্য পাখির কলতান এ ইউনিয়নের প্রাকৃতিক পরিবেশকে করেছে নৈসর্গিক শোভাবর্ধিত। সুউচ্চ পর্বতরাজির সবুজ চাদরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্বার সম্মিলন এ উপজেলাকে করেছে অনন্য। প্রকৃতির এহেন অফুরন্ত সৌন্দর্যের লীলা নিকেতন এ ইউনিয়ন হতে পারে পর্যটন, উন্নয়নের প্রাণকেন্দ্র।
তথ্যসূত্র: স্থানীয় সাংবাদিক জনাব মমতাজ উদ্দিন আহমদ লিখিত ও আলীকদম প্রেসক্লাব সম্পাদিত- প্রেক্ষণ: পাবর্ত্য গিরিনন্দিনী আলীকদম হইতে উদৃত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস